এই ব্লগটি সন্ধান করুন

৫ এপ্রি, ২০১৫

বৈশাখ

ড়রমণীর নকশা গালে
পথের পাশে আলে আলে
বৈশাখ আসে সোরগোলে।
যুবকের পাঞ্জাবি গলে
নারু মোয়া ছাতু গিলে
বৈশাখ আসে মিষ্টির দোকানে।
গানে গানে প্রানে প্রানে
ঢাকের তালে সুর তুলে
বৈশাখ আসে রমনার বটমূলে।
শিশু কিশোরের ঊচ্ছ্বাসে
মায়ের ব্যস্ততায় সাড়া দিয়ে
বৈশাখ আসে পাজনের কড়াই শুন্য করে।
অগ্নিমূর্তি সূর্য নিয়ে
কাঁচা আমের সুবাস মেখে
বৈশাখ আসে বিহুফুলের শাখে শাখে।
প্রতি ঘরে চৌখাটে
তকতকে আসবাবে
বৈশাখ আসে নিম-ফুল মালা গলে।
নব হালখাতার নব আয়োজনে
নতুনের শুভ উদ্বোধনে
বৈশাখ আসে অতীতের ক্লান্তি ভুলে।
আসে বৈশাখ রুদ্র ঝড়ে
কালবৈশাখী মাথায় করে
যেন পুরাতন ধুয়ে দিবে নিজ করে
এই প্রত্যয় পন করে
বৈশাখ আসে উঠোনে
শিশুর আঁকা প্রতীকী শত্রু দমনে।

এলো এলো রে বৈশাখী ঝড় এলো এলো রে


 ------------------------- কাজী নজরূল ইসলামের
এলো এলো রে বৈশাখী ঝড় এলো এলো রে,
ঐ বৈশাখী ঝড় এলো এলো মহীয়ান সুন্দর।
পাংশু মলিন ভীত কাঁপে অম্বর চরাচর থরথর।।
ঘনবনকুন্তলা বসুমতী সভয়ে করে প্রণতি,
সভয়ে নত চরণে ভীতা বসুমতী।
সাগর তরঙ্গ মাঝে তারি মঞ্জীর যেন বাজে বাজে রে
পায়ে গিরিনির্ঝরঝরঝর ঝরঝর।।
ধূলিগৈরিক নিশান দোলে ঈশান গগন চুম্বী,
ডম্বরু ঝল্লরী ঝাঁঝর ঝনঝন বাজে
এলো ছন্দ বন্ধনহারা এলো রে
এলো মরুসঞ্চর বিজয়ী বীরবর।।
 

  এসেছ হে বৈশাখ



বৈশাখী রোদে আবার বেজেছে রঙিন কাঁচের চূড়ি
দখিনা বাতাসে আজ ওড়াবো আমার মন ঘুড়ি ৷
বাসন্তী রঙ শাড়ির ভীরে আজ আবার হারাবো
কৃষ্ণচূড়ার লাল আগুনে মন আবার পোড়াব ৷
আজ নাচবো আজ গাইবো আজ মাতবো প্রাণ খুলে
আজ নাচাবো আজ গাওয়াবো আজ মাতাবো সব ভুলে ৷
আজ অনেক দিনের পরে হবে আবার সমর্পন
মন ঘুড়িটায় থাকবে ভরে লাজুক শিহরণ ৷
আজ মন বাঁশরীর সুরে সুরে ভুবন মাতাবো
যাদুর কাঁঠির ছোঁয়ায় আজ তোমায় জাগাবো ৷
তুমি হাসবে তুমি ফাঁসবে তুমি আমায় জড়াবে
তুমি দুষ্টু চোখের চাহনীতে আমায় ভরাবে ৷
আজ বৈশাখের রঙের মেলায় আমার নিমন্ত্রণ
আজ ধন্য বড় ধন্য আমার ক্ষুদ্র তুচ্ছ জীবন ৷



(সবাইকে বৈশাখী শুভেচ্ছা)